মঙ্গলবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকা সুশান্তের,ঘনিষ্ঠ ছবি মহেশ ভাটের সঙ্গে

বিনোদন ডেস্ক : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ‘ভাটসাব’-এর ৭০ বছরের জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন রিয়া। রিয়ার বুকের কাছে মহেশের মাথা, চোখ বন্ধ। মুখে মিষ্টি হাসি, দুজনেরই। ক্যাপশনে লেখা, শুভ জন্মদিন মাই বুডঢা। তুমি আমায় ভালোবাসায় জড়িয়েছ, ভালোবাসা কী তা তুমিই শিখিয়েছ। সারাজীবনের জন্য আমার বন্ধ হয়ে যাওয়া পাখা মেলতে শিখেছি তোমারই কারণে। তুমি সেই আগুন যে আগুন প্রতিটি আত্মাকে উদ্দীপ্ত করে। আই লাভ ইউ।

রিয়া লিখেছেন এসব। অথচ রিয়া সুশান্তের প্রেমিকা। একসাথেই ছিলেন। গত কিছুদিন ধরে ঝামেলার কথা শোনা যায়। শোনা যায় নভেম্বরেই সুশান্ত রিয়া বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। তাহলে মহেশ ভাট আসছে কোত্থেকে? মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার অসংখ্য ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। আর প্রত্যেক ছবির সঙ্গে অসংখ্য প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের সহজ সরল উত্তর কি মিলবে?

সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ।  মহেশের সঙ্গে আরো একটি ছবি পোস্ট করেন রিয়া। রিয়ার এই পোস্টে যেন নড়ে যায় বলিউড। কিশোর কুমারের ঠোঁটে ‘অমর প্রেম’ ছবির সেই বিখ্যাত গানের কয়েকটি লাইন- তু কউন হ্যয়, তেরা নাম হ্যয় কেয়া, সিতা ভি ইহা বদনাম হুয়ি এর সঙ্গে লেখা, দূষিত হৃদয় থেকে আসা ট্রোল যদি নোংরামোতে পরিপূর্ণ হয় তবে আমাদের অন্ধকার যুগ থেকে বেরিয়ে আসার যাবতীয় দাবি মিথ্যে।’

অবশ্য রিয়া বলেছিলেন মহেশভাট তার বাবার মতো। তাই রিয়ার টেক কেয়ারও করতেন ভাট সাহেব। কিন্তু ছবিগুলো নিয়ে খুব সহজ কথা বলছেন না নেটিজেনরা।

‘পারভিন ববির ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি’, সুশান্ত সিং রাজপুতের মানসিক ঘটনার অবনতি নিয়ে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে একথাই বলেছিলেন পরিচালক মহেশ ভাট। সেকারণেই সুশান্ত’র কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন রিয়াকে। সুশান্তের মৃত্যুর পর উঠে এসেছে এমন তথ্য। এবিষয়ে মুখ খুলেছেন লেখিকা সুহরিতা সেনগুপ্ত।

‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে সুহরিতা  জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল মহেশ ভাটের অফিসে। সুশান্ত সেখানে গিয়েছিলেন ‘সড়ক ২’-তে কাজ করার বিষয়ে কথা বলতে। একটি বিষয় নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মহেশ ভাট। সুশান্তের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মধ্যেই তাঁর মনের গভীরে এই কঠিন অসুস্থতার দিকটি খেয়াল করেছিলেন ‘ভাট সাব’। সুহিত্রা সেনগুপ্তের কথায় পারভিন ববির ঘটনাটা মহেশভাট খুব ভালো করে জানেন, তাই তিনি সুশান্তের বিষয়টা বুঝে যান। তিনি এটাও জানতেন চিকিৎসা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

মহেশ নাকি এ বারেও বলেছিলেন, এই সম্পর্কে থাকলে রিয়া পাগল হয়ে যাবেন খুব শিগগির। এর পরেই নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রিয়া।

কর্ণাটকের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভেন্দু সাহা তার ফেসবুকে লিখেছেন, গুগল টুইটার এ অনেক রিসার্চ করে যতটা বুঝেছি একটু তোমাদের বলছি , এখানে একজন হলেন আলিয়া ভাট এর বাপ মহেশ ভাট , ডিরেক্টর , আর একজন সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্ল ফ্রেন্ড রিহা চক্রবর্তী , আমরা সবাই জানি এদের দুজনের প্রেম লীলা , বুড়ো হয়েও অনেকের জীবন নিয়ে খেলেছে এই বড়ো ভাম , ঠিক রিহার সাথেও হয়েছিল এটা।

তিনি লিখেছেন, এর পর সুশান্ত একদিন বলেছিল আমি তোমার সাথে সম্পর্ক রাখলে আমি খুন হয়ে যেতে পারি, এর কিছুদিন আগে রিহা তার ইনস্টগ্রমে সুশান্তের সব ছবি ডিলিট করে, তারপর সুশান্তের মৃত্যুর খবর আসে , আমি সিউর এই মৃত্যুর পিছনে এই বুড়ো ভাম এর ভূমিকা আছে , এটা সুইসাইড না , এটা প্রি প্ল্যানড মার্ডার, এর পর দেখুন কিভাবে সুইসাইড প্রমাণ করবে তার একটা বড়ো চক্রান্ত , আমরা জানি সুশান্ত অনেক গুলো ছবিতে সাইন করেছিল , সাইন করার পরই তাকে বলিউড থেকে ব্যান করা হয় , স্বাভাবিক আমরা ভাববো তাকে ব্যান করার জন্য ডিপ্রেশনের গিয়ে সে সুইসাইড করেছে ।

শুভেন্দু লিখেছেন, ঘটনার কিছুদিন আগে সুশান্তের এক্স ম্যানেজার দিশা সুইসাইড করে, এটাও ওই বুড়ো ভাম এর কাজ হতে পারে, মানুষের সামনে এটা হয়তো দেখতে চাইছিল যে দিশাকে সুশান্ত খুব ভালোবাসতো তাই তার শোক সে নিতে পারেনি, তাই সে সুইসাইড করেছে, এই জনোয়ার বুড়ো টা নিজের আনন্দের জন্য অন্যকেও শেষ করে দিতে ভয় পাই না , আর রিহা , আমি জানিনা তুমি সুশান্তকে কতটা ভালোবাসতে , আর কেনই বা ওই বুড়োটাকে এতো গুরুত্ব দিতে আমি সত্যিই জানি না , পৃথিবীটা যে এত নিষ্ঠুর , আর কিছু বলার নেই , শুধু এটাই বলবো।’

এই বিভাগের আরো খবর